‘প্রশ্নফাঁস বন্ধে প্রয়োজনে এমসিকিউ বন্ধ’
প্রকাশিত : ১৯:১৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৯:১৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে প্রয়োজনে এসএসসিসহ পাবলিক পরীক্ষায় নৈর্বক্তিক প্রশ্ন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁসে নৈর্বক্তিক বিষয়টি-ই যেহেতু সমস্যার মূল কারণ, তাই এটা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর এ বিষয়টির পক্ষে লেখার জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ইতালি ও ভিয়েতনাম সফরের বিষয়টি তুলে ধরতে আজ বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসবভনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সাংবাদিক রেজওয়ানের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, প্রশ্নফাঁস রোধে মন্ত্রী বা সচিব জড়িত নন। আর প্রশ্নফাঁসের জন্য যেহেতু এমসিকিউ প্রশ্নপত্র-ই দায়ী, তাই আমরা এটা উঠিয়ে দিবো। তবে প্রশ্নফাঁস বন্ধে সাংবাদিকদেরও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সাংবাদিক রেজওয়ান প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, সারাদেশে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সরকারের কোন লোকজন জড়িত আছে কি না, আর থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রী বা শিক্ষাসচিব প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত নন। জড়িত নন লাখো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও। তবে কেউ না কেউ তো জড়িত। আর তাঁদের চিহ্নিত করতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানান প্রধামন্ত্রী।
প্রশ্নফাঁসকারীদের চিহ্নিত করার পর তাদের তালিকা সরকারের হাতে তুলে দিতে সাংবাদিকদের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধীদের শনাক্তের পর তাদের ধরে শাস্তি দেওয়া হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশ্নফাঁস অতীতেও হয়েছে। এটা নতুন ঘটনা নয়। আর পরীক্ষার ২০ মিনিট আধা ঘণ্টা কিংবা দুই ঘণ্টা আগে প্রশ্নফাঁস হলেও, দেশে এমন কোন শিক্ষার্থী নেই যে প্রশ্ন পাওয়ার পর বই খুলে মুখস্থ করে পরীক্ষার খাতায় গিয়ে লিখে ফেলবে। তবে অবশ্যই প্রশ্নফাঁস বন্ধ হতে হবে।
এমজে/
আরও পড়ুন